প্রকাশিত: ০২/০৬/২০২১ ১:২৭ পিএম

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের চার মাস পার হলেও চলমান জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ-আন্দোলন দমাতে পারেনি নিরাপত্তা বাহিনী। গতকাল মঙ্গলবারও দেশটির বিভিন্ন স্থানে রাজপথে নামেন গণতন্ত্রপন্থিরা। সোমবার দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় কায়েহ রাজ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর বিমান হামলার পরদিন দেশটির জেলায় জেলায় বিক্ষোভ করেন অং সান সু চির সমর্থকরা।

এদিকে, ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের জেরে চার মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে বিদ্যালয় খোলার নোটিশ দেয় সামরিক সরকার। তা প্রত্যাখ্যান করেছেন গণতন্ত্রপন্থিরা। খবর রয়টার্স ও এএফপির।

ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশজুড়ে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ, ধর্মঘট ও অসহযোগ আন্দোলন চলছে। এতে বন্ধ হয়ে যায় স্কুল, ব্যাংক ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব আন্দোলন দমনের নামে প্রতিবাদকারীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায় জান্তানিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা বাহিনী। পরে এতে যোগ দেয় দেশটির সশস্ত্র গোষ্ঠীরা। গঠন করা হয় জাতীয় ঐক্য সরকার, যা ছায়া নামে পরিচিত।

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ইরাবতি প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, দক্ষিণাঞ্চলে লাউং লোন শহরে জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন আন্দোলনকারীরা।

সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাউ প্রকাশিত ছবিতে ইয়াঙ্গুনের কামায়ুত জেলায় তরুণদের বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। সেখানে এক প্রতিবাদকারীর হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল, ‘আন্দোলন নিঃশেষ হয়ে যায়নি।’

এদিকে, গতকাল থেকে বিদ্যালয় খোলার জন্য আগেই নোটিশ দেয় দেশটির জান্তানিয়ন্ত্রিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেন দেশটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। এদিন এর প্রতিবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে র‌্যালি করেন রেল কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তারা।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে আসিয়ান

রাখাইন রাজ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় মিয়ানমারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে আসিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। পাশাপাশি ...

ফিলিস্তিনপন্থি গ্রুপকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছেন টিউলিপ

যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মসূচির সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধ করার প্রস্তাবে ...